ট্রেন ধাক্কার ঘটনায় আহত কামাল আহমদের মৃত্যু

সিলেটএক্সপ্রেস মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মাইক্রোবাসকে ট্রেনের ধাক্কার ঘটনায় আরও একজন মারা গেছেন। ওই দুর্ঘটনায় আহত হওয়া কামাল আহমদ (৩৫) সিলেট নগরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে মারা যান।
এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন।
গত রোববার দুপুরে কুলাউড়ার ভাটেরা এলাকায় রেলক্রসিং পেরোনোর সময় একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয় সিলেটগামী পারাবগ ট্রেন। এতে ঘটনাস্থলেই ফরিদ উদ্দিন (৪৮) ও আফিফ হোসেন (৮) নামে দুজন মারা যান। এ দুর্ঘটনায় আহত হন আরও ৬ জন। হতাহতরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য।
বুধবার মারা যাওয়া কামাল আহমদ ঘটনার দিন মারা যাওয়া ফরিদ উদ্দিনের ভাই। তারা নগরের আম্বারখানা এলাকার লোহারপাড়ার বাসিন্দা।
কামাল আহমেদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তাদের প্রতিবেশী রিজভী আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন। চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জাল লড়ে বুধবার রাতে তিনি মারা যান।
এই ট্রেন দুর্ঘটনায় কামাল আহমেদের বড় ভাই লাবিব আহমদও গুরুতর আহত অবস্থায় নগরের একটি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এছাড়াও এই ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন- লিলি বেগম (৪০), রাবু বেগম (২০), রিজু (২০) ও জাহানারা বেগম (৫৪)।
হতাহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দু’টি মাইক্রোবাসে করে কুলাউড়ার ভাটেরায় যাচ্ছিলেন সিলেট নগেরর আম্বরখানা এলাকার এই পরিবারটির বাসিন্দারা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভাটেরা এলাকার হোসেনপুর গ্রামের প্রবশের সময় একটি মাইক্রোবাস রেলক্রসিং অতিক্রম করে। পেছনের মাইক্রোবার ক্রসিং অতিক্রমের সময় চলন্ত একটি ট্রেন ধাক্কা দেয়।
দ্রুতগামী ট্রেন প্রায় অর্ধকিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় মাইক্রোবাসটিকে। এতে দুমড়ে মুছড়ে যায় মাইক্রোবাসটি। মাইক্রোবাসের দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত এ ৬ জন আহত হন। আহতদের একজন বুধবার মারা গেলেন।