বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস-২০২২ উদযাপন

ইফতেখার শামীম সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভুইয়া বলেছেন, হিমোফিলিয়া হলো অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত জন্মগত সমস্যা। রক্ত জমাট বাধার উপকরণ ফ্যাক্টর এইট ঘাটতির জন্য হিমোফিলিয়া ‘এ’ এবং ফ্যাক্টর নাইন ঘাটতির জন্য হিমোফিলিয়া ‘বি’ হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ১০,৬৪০ জনের মতো হিমোফিলিয়া রোগি রয়েছে। সিলেটে যার সংখ্যা ১৫০ এর মতো। যদিও এ রোগের স্থায়ী নিরাময়যোগ্য কোনো চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি তবে তাৎক্ষণিক উপশমের ব্যবস্থা আছে।
রোগিদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে সাথে সাথে চিকিৎসা কেন্দ্রে আসতে হবে। জরুরি অবস্থা না হলে ফ্যাক্টর এইট নেয়ার দরকার নেই। এবং অবশ্যই আমাদেরকে প্লাজমার উপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে। এ রোগ সম্পর্কে সচেতন হয়ে একই ছাতার নিচে সবাইকে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ ও হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ সিলেট এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্বের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আজ রবিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কনফারেন্স কক্ষে ডা. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলামের পরিচালনায় সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক যুগেন্দ্র সিনহা, সহযোগি অধ্যাপক আব্দুল হাই, সহযোগি অধ্যাপক এফ.এম.এ মো. মুসা, সহকারি অধ্যাপক নাহিদা জাফরিন তুলি, সহকারি অধ্যাপক ডা. মাইনুল, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. নবেন্দু চৌধুরী, ডা. মাহবুবুর রহমান, সোসাইটির সিলেট বিভাগীয় আহ্বায়ক মুহিত মিয়া, অভিভাবক সদস্য রুবেল আহমদ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে হিমোফিলিয়া বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি র্যালি বের করা হয়।
উল্লেখ্য, হিমোফিলিয়া একটি জেনেটিক রোগ। সাধারণত মহিলারা এ রোগের জিন বহন করেন। এই রোগ বংশানুক্রমে মায়ের শরীর থেকে পরবর্তীতে ছেলে মেয়ের শরীরে প্রবেশ করে। ছেলের শরীরে প্রবেশ করলে এই রোগ প্রকাশ পায়। মেয়ের শরীরে প্রকাশ পায় না, তবে মেয়েরা পরবর্তীতে রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে। সময়মতো রোগটি শনাক্ত করা সম্ভব না হলে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করে সম্ভাব্য জটিলতার হাত থেকে রক্ষা করতে না পারলে কোন কোন ক্ষেত্রে রোগির মৃত্যুও হতে পারে অথবা পঙ্গুত্বের দিকে ধাবিত হতে পারে।