হোটেল শ্রমিক নেতা আবুল কালাম আজাদ এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত
সিলেট এক্সপ্রেস
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মার্চ ২০২৪, ৪:২২ মিনিটসিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবুল কালাম আজাদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ৩ মার্চ বিকাল ৪ ঘটিকায় শহরের জিন্দাবাজারের নজরুল একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের সভাপতি ছাদেক মিয়া’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আনছার আলীর পরিচালনায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন (রেজি: নং বি:২০৩৭)-এর সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি সুরুজ আলী, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ সুবেল মিয়া, জাতীয় ছাত্রদল শাবিপ্রবি শাখার সহ-সভাপতি জুয়েল চাকমা, জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ (শান্ত), সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, সিলেট জেলা স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আবুল কালাম আজাদ এর বড় ছেলে বদরুল আজাদ।
সভায় বক্তারা বলেন, সাদামাটা জীবন-যাপন ও সহজ সরল ব্যবহার এবং সুবক্তার কারণে আবুল কালাম আজাদ অতি সহজেই শ্রমিকদের সাথে মিশতে পারতেন এবং সাধারণ মানুষের কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করেন। তার আন্তরিক ব্যবহারের জন্য শ্রমিকদের কাছে তিনি প্রানপ্রিয় নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। তিনি শ্রমিক কৃষক জনগণের রাষ্ট্র তথা গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। পাশাপাশি হোটেল সেক্টরে শ্রমআইন বাস্তবায়ন হোটেল শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান, বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে নি¤œতম মজুরি নির্ধারণ ও শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আমৃত্যু সোচ্চার ছিলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জনগণের জীবন-জীবিকার সকল প্রয়োজনীয় বিষয় রাষ্ট্রীয় দলীয় ও আমলা, ব্যবসায়ীদের অবাধ লুটপাট ও লাগামহীন বাণিজ্য ক্ষেত্রে পরিণত করে চলছে। সম্পদের বৈষম্য প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে দেশের শ্রমিক-শ্রমজীবী-মেহনতি জনগণ অনাহার-অর্ধাহার, অভাব-অনটন, দুঃখ কষ্টে সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। চাল-ডাল-তেল, পেঁয়াজ, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ঔষধ-চিকিৎসা সামগ্রী, স্কুল কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি-বেতন ও শিক্ষা উপকরণের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। সেই তুলনায় শ্রমিক-শ্রমজীবী মানুষের আয় ও মজুরি বাড়েনি
দেশের বর্তমান অবস্থায় প্রয়োজন শ্রমিক-কৃষক-মেহণতি জনগণের লাগাতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলে শ্রমিক কৃষকের বাসপোযোগী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া। জাতীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলে আবুল কালাম আজাদের অসমাপ্ত কাজ জাতীয় গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান করার আহবান জানান।
এদিকে বেলা ১১টায় মানিকপীড়স্থ প্রয়াতের সমাধিতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে প্রয়াতের ¯্ররণে দাঁড়িয়ে ০১ (এক) মিনিট নিরবতা পালন ও শপথ বাক্য পাঠ করা হয়।